রংপুরের প্রধান সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী
আগে রংপুরে থমথমে পরিস্থিতি
কারফিউ জারির পর শনিবার সকাল থেকেই রংপুরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রংপুরের প্রধান সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
সেখানকার প্রধান সড়কে যান চলাচল দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিক শাহরিয়ার মিম। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন মোড়ে সীমিত পরিসরে স্থানীয় লোকজনকে দেখা গেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষে রংপুরে তিনজন নিহত হয়।
এছাড়া আগুন দেয়া হয় রংপুর শহরের তাজহাট থানা, ডিবি পুলিশের কার্যালয় এবং একটি উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে। এছাড়াও পুলিশ কার্যালয়ে রাখা কিছু গাড়ি লুট করা হয় এবং কয়েকটি গাড়ি সড়কে এনে আগুন দেয়া হয়।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে গাড়িতে আগুন
শনিবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের মৌচাক এলাকায় তিনটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরে সেনাবাহিনী দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক আহসান সাদিক।
এর আগে শুক্রবার সেখানকার সিটি কর্পোরেশন, পিবিআই ভবনসহ একাধিক স্থানে আগুন দেয়া হয়। ঢাকা- নারায়ণগঞ্জের ঝালকুড়ি এলাকায় শীতল পরিবহনের ২৬টি বাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আগে
শুক্রবারে সহিংসতায় সারা দেশে অন্তত ৫৬ জন নিহত
শনিবারের প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, সারাদেশে শুক্রবারের সহিংসতায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে।
এ নিয়ে গত চারদিনের সহিংসতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে পত্রিকাগুলো উল্লেখ করেছে। প্রথম আলো পত্রিকা লিখেছে, শুক্রবার ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে নিহত হয়েছে ১০৩ জন।
শুক্রবার অন্তত ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর নিয়ে শিরোনাম করেছে ডেইলি স্টার।
তবে বণিক বার্তায় ৫৮ জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে।
সমকাল পত্রিকায় বলা হয়েছে, শুক্রবারের সহিংসতায় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিউএজ পত্রিকা ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
আগে
শনিবার সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর মোতায়েন
শুক্রবার রাতে কারফিউ জারির ঘোষণার পর শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
সকাল থেকে ঢাকার বেশিরভাগ রাস্তা ফাঁকা রয়েছে, যানবাহন বা লোক সমাগম দেখা যাচ্ছে না।



No comments